এখন থেকে রান্নাঘরের শেলফে গোলমরিচের কৌটা রাখবেন প্রথম সারিতে। কেন? খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি গোলমরিচের স্বাস্থ্যগুণ যে কতো বেশি তা ধারণার বাইরে।
গোলমরিচের আদিবাস দক্ষিণ ভারতে হলেও অন্য গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলোতে এদের চাষ হয়। বর্তমানে গোলমরিচের সবচেয়ে বেশি চাষ হয় ভিয়েতনামে। বিশ্বব্যাপী খাবার গার্নিশের জন্য ব্যবহৃত অন্যতম এ উপকরণে রয়েছে উল্লেখযোগ্য কিছু উপকারিতা। আসুন জেনে নেই।
ক্যানসার প্রতিরোধক
গোলমরিচ ক্যানসার প্রতিরোধ করে। কিন্তু এর গুণাগুণ আরও বেড়ে যায় যখন হলুদের সঙ্গে গোলমরিচ মেশানো হয়। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফ্লেভোনয়েড, ক্যারোটিন ও অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালস অপসারণ করে। ভালো ফলাফলের জন্য রান্নায় ব্যবহারের পরিবর্তে খাবারের সঙ্গে আলাদা করে গোলমরিচ গুঁড়া খান।
হজম উদ্দীপক
গোলমরিচ পাকস্থলীতে উদ্দীপকের কাজ করে। এটি পাকস্থলীতে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে। যা খাদ্যের প্রোটিন হজমে সহায়ক।
ঠাণ্ডা-কাশি থেকে মুক্তি
গোলমরিচ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। ঠাণ্ডা থেকে মুক্তি পেতে এক চা-চামচ মধুর সঙ্গে এক চিমটি গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এছাড়াও দূষণ, ফ্লু ও ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে চেস্ট কনজেশন হলেও গোলমরিচ খেতে পারেন। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও পরিচিত।
ওজন হ্রাস
ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ গোলমরিচ দেহের ফ্যাট সেলকে ভাঙতে সাহায্য করে ও বিপাক প্রক্রিয়া সচল রাখে। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি গোলমরিচ খাওয়া যাবে না। খাবারের সঙ্গে এক চিমটিই যথেষ্ট।
মানসিক অবসাদ দূর
গোলমরিচ মস্তিষ্কে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। মস্তিষ্ককে অারও সক্রিয় করে ও সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।